মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
রাজধানীর মিরপুরের দারুসসালাম থানার এসআই রেজাউল করিম ও তার সোর্স মিলে ২০ পিস ইয়াবা দিয়ে ইমরান’নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত শনিবার (৩০ জুলাই) দারুসসালাম থানাধীন বাতেননগর এলাকায় নিজ বাসা হতে ইমরান (২১) নামে এক যুবককে আনুমানিক বিকেল ৩টার দিকে দারুসসালাম থানায় কর্মরত এসআই রেজাউল করিম ২০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতারের করেন। পরদিন বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে থানা হেফাজত থেকে ছেড়ে দেয়া হয় ইমরানকে। ইমরানকে ফাঁসাতে এসআই রেজাউল করিমের সোর্স রাজাকে ব্যবহার করেন, যে একাধিক মাদক মামলার আসামি।
পুলিশের সোর্স রাজা এবং ইমরান একই বাসায় ভাড়া থাকেন। রাজা পরিকল্পিতভাবে তার স্ত্রীর মাধ্যমে ওই বাসার ফ্রিজের ওপর রাখা ফুলের টবে পূর্বেই রেখে যায় মাদক। তারপর এসে আই রেজাউল ইমরানের বাসায় ঢুকে এবং সেই ইয়াবার ব্যবসা করে বলে তার ঘর সার্চ করার নাটক করে ফুলের টবের ভেতর থেকে ইয়াবা উদ্ধার করে।
এ ঘটনা গণমাধ্যমকর্মীরা জেনে গেলে পুনঃতদন্তের মাধ্যমে সহকারী পুলিশ কমিশনার (দারুসসালাম জোন) মিজানুর রহমানে তদন্তে কোন মতে রেহাই পায় ইমরান। রাতে সোর্স রাজা পুলিশের সামনেই ইমরানকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করে ও ডান কানে সজারো থাপ্পর ও ঘুষি মারে। থানা হেফাজতে থাকাকালীন রাতে ঘরের তালা ভেঙে ইমরানের বাসায় রাখা স্বর্ণালঙ্কার ও মালামাল লুট করে পালিয়ে যায় সোর্স রাজা। ঘটনায় নির্দোষ প্রমাণ হলেও মোটা অংকের অর্থ ঘুষ গ্রহণের কথাও শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও থানা এলাকায় বিভিন্ন হোটেল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে ওই এসআই রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে এসআই রেজাউল করিমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে পারব না। আর এ অভিযোগ সঠিক নয়।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার (দারুসসালাম জোন) মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। সঠিক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।